ঈদগাঁও থানার ওসির উপস্থিতিতে দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষঃ আহত ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক •

ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম কবিরের উপস্থিতিতে দুই গ্রুপের তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেন দুই পক্ষ’ই। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

৩ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদের খোদাইবাড়ী নতুন রাস্তার মাথা নামক স্থানে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে এবং থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানান স্থানীয়রা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,ঘটনার সময় স্থানীয় মেম্বারসহ ১০/১২ জনের একদল লোক জড়ো হয় বিরোধীয় একটি জায়গায়। পরে তারা জমির উপর নির্মিত দোকানপাট দখলের চেষ্টা চালায়। পরে প্রকৃত জমির মালিকের লোকজন এসে বাধা প্রদান করলে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আবু বক্কর সিদ্দিক বান্ডি পুলিশকে খবর দিলে দ্রুত সাদা পোশাকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কবির। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

আহতরা হলেন, খোদাই বাড়ী এলাকার সাহাফু বেগম, ওসমান গনি, রফিকুল ইসলাম, জেসমিন আক্তার। অপর দিকে দ্বিতীয় পক্ষের সুমন সহ আরো ৪/৫ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেন জমি ক্রেতা আবু তৈয়ব চৌধুরী।

জমির মালিক ফারুক আহমেদ জানান, তাদের খরিদা সূত্রে প্রাপ্ত ৭৪ শতক জমি থেকে আসাদ আলী গং জালিয়াতি করে ইসমাইল নামের জনৈক এক ব্যক্তিকে কিছু অংশ জমি বিক্রি করে দেয়। পরে তারা বিষয়টি টের পেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন যার নং অপর ১৩২৪/২১ । মামলাটি আদালতে বিচারাধনীন রয়েছে। পরবর্তীতে ইসমাইল থেকে ৩৪ কড়া জমি ক্রয় করেন আবু তৈয়ব চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী। কিন্তু আবু তৈয়ব চৌধুরী যে পরিমাণ জমি ক্রয় করছে তার চেয়ে অধিক জমি দখলের চেষ্টা চালায় দীর্ঘদিন ধরে। এ সংক্রান্ত বিরোধ মিমাংসায় থানায় বেশ কয়েকবার বৈঠকও হয়েছে।

কিন্তু আবু তৈয়ব চৌধুরী টাকার জোরে ওসির সহযোগিতায় পুরো জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিনও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আবু বক্কর সিদ্দিক বান্ডিসহ ১০/১৫ জন লোক নিয়ে এসে দখলের চেষ্টা চালালে প্রতিহত করে জমির মালিকের ওয়ারিশরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে থানা পুলিশকে খবর দেয় মেম্বার। পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাদা পোশাকে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, এ ঘটনায় ওসি গোলাম কবিরও হেনেস্তার শিকার হয়েছে। সাদা পোশাকে থাকায় চিনতে না পেরে অনেকেই তাকে ধাক্কা দেয়। সংগঠিত ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে আবু তৈয়ব চৌধুরী দাবি করেন;তার ক্রয়কৃত জমির উপর নির্মিত দোকানপাটের ভাড়া তুলতে গেলে স্থানীয় কিছু লোক তাদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়।

এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কবির কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সংগঠিত ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানান স্থানীয়রা। যেকোনো সময় পূনরায় রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করছে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আবু বক্কর সিদ্দিক বান্ডির মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে পাওয়া গেলে গুরুত্ব সহকারে ছাপানো হবে।